জিহ্বার সঞ্চরণ দেখার জন্য ডান দিকের ছবিতে ক্লিক করে হাইপার লিঙ্কটি ওপেন করুন -->

Bangodarshan

ক্রিয়া

Bangodarshan

ক্রি

য়া

কৃয়া

Bangodarshan

কৃ

য়া

মাপা

Bangodarshan

মা

পা

সিন্থেসাইজড্ কৃপা

Bangodarshan

কৃ

পা

রাধারাণী দেবীর কণ্ঠে 'শুক ও সারি'

কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এর কণ্ঠে 'শুক ও সারি'

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এর কণ্ঠে 'শোন সখী'

ক্ক

বৃক্ক = বৃ+ক্ক, অক্কা = অক্+কা, নিক্কণ = নিক্+কণ্

ক্ট

অ্যাক্টর = অ্যাক্+টর

ক্ত

ব্যক্ত = ব্যক্+ত, উক্ত = উক্+ত, শক্তি = শক্+তি

ক্ব

পক্ব = পক্ + ব

ক্ম

রুক্মিণী = রুক্+মিণী(ইঁণি)

ক্র

বক্র = ব+ক্র, ক্রতু = ক্র+তু

ক্ল

শুক্ল = শু+ক্ল

ক্ষ

বক্ষ = বক্+ষ(খ)

ক্ষ্ম

লক্ষ্মণ = লক্+ষ্‌মণ(লক্‌+খঁণ)

ক্স

বাক্স = বা+ক্স

গ্ধ

দগ্ধ = দগ্‌+ধ

গ্ন

ভগ্ন = ভ+গ্ন

গ্ব

ঋগ্বেদ = ঋগ্+বেদ

গ্ম

যুগ্ম = যু+গ্ম

গ্র

গ্রহণ

গ্ল

গ্লানি

ঘ্ন

বিঘ্ন = বি+ঘ্ন

ঙ্ক

অঙ্ক = অ+ঙ্ক

ঙ্গ

ব্যঙ্গ = ব্য+ঙ্গ

ঙ্ঘ

জঙ্ঘা = জঙ্ + ঘা

ঙ্ক্ষ

কাঙ্ক্ষিত=কাঙ্‌+ক্ষিত

ঙ্ম

বাঙ্ময়=বাঙ্+ময়

চ্চ

উচ্চ = উচ্+চ

চ্ছ

কচ্ছ = কচ্+ছ

চ্ছ্ব

উচ্ছ্বল = উচ্+ছ্বল

চ্ঞ

যাচ্ঞা = যা+চ্ঞা(চাঁ)

চ্ছ্র

উচ্ছ্রিত = উচ্+ছ্রি+ত

জ্জ

কজ্জল = কজ্+জল

জ্জ্ব

উজ্জ্বল = উজ্+জ্বল

জ্ঝ

কুজ্ঝটিকা = কুজ্+ঝটিকা

জ্ঞ

বিজ্ঞ = বি+জ্ঞ(গঁ)

জ্ব

জ্বর (কোথাও বিরতি নাই)

ঞ্চ

বিরিঞ্চি = বিরিঞ্(ন্)+চি

ঞ্ছ

বাঞ্ছা = বাঞ্(ন্)+ছা

ঞ্ঝ

ঝঞ্ঝা = ঝঞ্(ন্)+ঝা

ট্র

ট্রাক = ট্‌রা+ক, আলট্রা = আল্‌+ট্রা

ট্ট

পট্ট = পট্+ট

ণ্ট

ঘণ্টা = ঘণ্+টা

ণ্ঠ

কণ্ঠ = কণ্+ঠ

ণ্ড

অণ্ড = অণ্+ড

ণ্ণ

ক্ষুণ্ণ = ক্ষুণ্+ণ

ণ্ম

হিরণ্ময় = হিরণ্+ময়

ত্ত

দত্ত = দত্+ত

ত্ব

সান্ত্বনা = সান্‌+ত্বনা

ত্ত্ব

সত্ত্ব = সৎ+ত্ব(ত)

ত্থ

উত্থান = উৎ+থান

ত্ন

রত্ন = রৎ+ন

ত্ব

মহত্ব = মহৎ+ব(অ)

ত্ম

আত্ম = আৎ+ম(অঁ)

ত্র

ছাত্র = ছাৎ+ত্র

ৎস

উৎস = উৎ + স

দ্দ

চৌদ্দ = চৌদ্+দ

দ্ধ

শুদ্ধ = শুদ্+ধ

ন্ত

শান্ত = শান্+ত

ন্দ

মন্দ = মন্+দ

ন্ধ

বন্ধ = বন্+ধ

ন্ন

ছিন্ন = ছিন্+ন

ন্ব

অন্বয় = অন্‌+ব(অ)য়

ন্স

টেন্শন্ = টেন্+শন্ (বিরতি অল্প ন্স হলে নাই)

ন্ম

জন্ম = জন্+ম

প্ট

অপ্টিক্ = অপ্+টিক্

প্ত

সুপ্ত = সুপ্+ত

প্ন

স্বপ্ন = স্বপ্+ন

প্প

গপ্পো = গপ্+পো

প্র

আপ্রাণ = আ+প্রাণ

প্ল

আপ্লুত = আ+প্লুত

প্স

অভীপ্সা = অভীপ্+সা

ফ্ল

ফ্লাড = ফ্লা+ড

ব্জ

অব্জ = অব্ + জ

ব্দ

অব্দ = অব্ + দ

ব্ধ

আরব্ধ = আরব্ধ

ব্দ্ধ

আনদ্ধ্ব = আনব্ + দ্ধ

ব্ব

জব্বর = জব্ + বর

ভ্র

অভ্র = অব্+ভ্র

ম্ন

নিম্ন = নিম্+ন

ম্ফ

গুম্ফ = গুম্+ফ(খুবই কম বিরতি)

ম্ব

হেরম্ব = হেরম্+ব

ম্ভ

শুম্ভ = শুম্+ভ

ম্ম

ধম্ম = ধম্+ম

ম্র

তাম্র = তাম্+র

ম্ল

অম্ল = অম্+ল

ল্ক

কল্কি = কল্ + কি

ল্গ

বল্গা = বল্ + গা

ল্ট

পল্টন = পল্+টন

ল্ড

বোল্ডার = বোল্+ডার

ল্প

অল্প = অল্ + প

ল্ফ

গুল্ফ = গুল্ + ফ

ল্ব

বিল্ব = বিল্+ব

ল্ভ

প্রগল্ভ = প্রগল্ + ভ

ল্ম

গুল্ম = গুল্ + ম

ল্ল

ফুল্ল = ফুল্+ল

শ্চ

পশ্চিম = পশ্+চিম

শ্ন

প্রশ্ন = প্রশ্+ন(হ্রস্ব বিরতি)

শ্ব

অশ্ব = অশ্‌ + ব

শ্ম

অশ্ম = অশ্ + ম

শ্র

বিশ্রাম = বিশ্+রাম

ষ্ক

কণিষ্ক = কণিষ্+ক

ষ্ট

শিষ্ট = শিষ্+ট

ষ্ঠ

কণিষ্ঠ = কণিষ্+ঠ

ষ্ণ

উষ্ণ = উষ্+ণ(হ্রস্ব বিরতি)

ষ্প

পুষ্প = পুষ্ + প

স্ক

ভাস্কর = ভাস্+কর

স্ক্র

নিষ্ক্রান্ত = নিষ্+ক্রান্ত

স্ত

ব্যস্ত = ব্যস্+ত

স্ত্র

ইস্ত্রী = ইস্‌+ত্রী

স্ন

স্নান = স্+নান(হ্রস্ব বিরতি)

স্প

শস্প = শস্ + প

স্ফ

আস্ফালন = আস্ + ফালন

স্ব

পরস্ব = পরস্+ব(অ)

স্ম

স্মরণ = স্ + মরণ

স্র

পরিস্রুত = পরিস্+রুত

হ্ন

জাহ্নবী = জাহ্+নবী

হ্ম

ব্রাহ্মণ = ব্রাহ্+মণ

হ্ব

জিহ্বা = জিহ্+বা

হ্ল

আহ্লাদ = আহ্+লাদ

ব-ফলা

উদাহরণ নং ১

বহুকালব্যাপী প্রচারের ফলে সাধারণ্যে এই ধারণা প্রচলিত আছে যে বাঙালীরা ব-ফলাকে উচ্চারণ করে পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব হিসাবে। অর্থাৎ আমরা 'তত্ত্ব'কে উচ্চারণ করি 'তত্ত'। আগে এই বিষয়টি বৈজ্ঞানিক উপায়ে বিশ্লেষণ করে দেখা যাক।

Bangodarshan

তত্ত

Bangodarshan

তত্ত্ব

Bangodarshan

সিন্থেটিক তত্ত্ব

উপরের প্রথম দুটি চিত্রে পরপর তত্ত, তত্ব শব্দ দুটি উচ্চারণ করে তার ধ্বনিতরঙ্গ দেখানো হয়েছে। তৃতীয় চিত্রটি প্রথম চিত্রের 'তত্ত্' অংশ পর্যন্ত নিয়ে 'তত্ব' শব্দের 'ব' অংশ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তিন নম্বর চিত্রটি এই 'সিন্‌থেটিক তত্ত্ব'। রেজাল্ট পারফেক্ট নয়। ধাক্কা আছে। তবু এটা দেখানো গেল যে বাঙালী টাঙএ তত্ত্ব উচ্চারণের সম্ভাবনা আছে। মনে রাখতে হবে, অভিধানে সত্ত্ব, সত্ব, স্বত্ব ইত্যাদি শব্দগুলি আছে। এবং ব্যূৎপত্তিনিষ্পন্ন হওয়ার ফলে এগুলির বানান সংস্কার করার সুযোগ নাই। তাই করা হয় নাই। অতএব উচ্চারণ করতে হবে। ডিষ্টিংক্টিভলি উচ্চারণ করতে হবে। শব্দগুলির উপর ক্লিক করে উচ্চারণ শুনুন। করা সম্ভব কিনা নিজে বিচার করুন। মনস্থির করলেই উচ্চারণ করতে পারবেন।

উদাহরণ নং ২

'স্ব' শব্দের প্রথমে থাকলে আমরা ব-ফলাকে প্রায় উচ্চারণ করিনা বললেই চলে। যদিও উচ্চারণ করা খুবই সহজ, তবু যেহেতু কখনো শেখানো হয় না, সেইজন্য এই অভ্যাসটি গড়ে ওঠেনা। এটি বস্তুতঃ একটি ব-লোপের উদাহরণ। যেখানে 'স্ব' উচ্চারণ করা হয় সেখানে আমাদের ধারণা আমরা স্স উচ্চারণ করে থাকি। আসলে আমরা 'স' কে একটু দীর্ঘ করে অকারকেও দীর্ঘ করে এই উচ্চারণ করে থাকি। আমরা 'অনুস্বর' (স্বার বলা হয়নি) কিভাবে উচ্চারিত হয়ে থাকে তা দেখানো হল। অনুস্বর এ ক্লিক করে উচ্চারণটি শুনুন।

Bangodarshan

অনুস্বর

এর পরের ধ্বনিতরঙ্গে 'স্বর' অংশটি দেখানো হয়েছে। 'স্বর' এ ক্লিক করে শুনুন, উচ্চারণটি আদর্শ 'স্ব' (SWA) এর খুব কাছাকাছি। পরে দেখবেন পরিষ্কার 'ব' বা 'বর' যেমন বর্গীয় 'ব' ব্যবহার করে হয় তাই করা হয়েছে। অথচ কম্বিনেশনটি ঠিক আদর্শ উচ্চারণের কাছাকাছি। ইচ্ছা করলেই বাঙালী টাঙ এ আমরা 'স্ব' ভালই উচ্চারণ করতে পারি।

Bangodarshan

                  স্বর

অনু অংশটির উচ্চারণ শব্দটির উপর ক্লিক করে শুনুন। ছবিতে দেখুন যা 'স্বর' অংশে উচ্চারিত হয়েছে, বাকীটাই এখানে আছে।

Bangodarshan

অনু                              

অনুস্ অংশটি চিহ্নিত করা হয়েছে পরের ছবিটিতে। অনুস্ শব্দটিতে ক্লিক করে উচ্চারণ শুনুন। একেবারেই স্বাভাবিক এমনকি কাটাছাঁটাও নাই।

Bangodarshan

অনুস্‌                

'বর' অংশটি চিহ্নিত করা হয়েছে পরের ছবিতে। 'বর' শব্দটিতে ক্লিক করে উচ্চারণ শুনুন। বর কথাটি আমরা যে ভাবে বলি সেই উচ্চারণই করা হয়েছে। এটিও বাঙালীর জিভে খুব সহজেই উচ্চারিত হয়ে থাকে। আমরা যদি 'অনুস্' আর 'বর' আলাদা আলাদা উচ্চারণ করতে পারি, তবে একসঙ্গে পারব না কেন? কারণ ইচ্ছা নাই। যখন শিক্ষার পত্তন হয়েছিল তখন যে গ্রেডের গুরুমশাই ছিলেন, তাঁদের পক্ষে অবশ্য এতটা সহজ নাও মনে হয়ে থাকতে পারে। তাঁরা 'ব' লোপ করে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী অক্ষর সামান্য টেনে ম্যানেজ করতেন।

Bangodarshan

                            বর

অতএব খুব সহজেই 'স্বর' উচ্চারণ করা সম্ভব। একইভাবে জ্বর ও উচ্চারিত হতে কোন সমস্যা হবার কথা নয়। আমরা উদ্‌বেগ বলি কিন্তু বিদ্‌বান না বলে বিদ্‌দান বলি, এগুলো অভ্যাসদোষ। উচ্চারণ করা সহজ, এবং করাই ভাল। না করলে কেস বাই কেস বানানের বানান লিখতে হবে। মতভেদের জন্য তা আবার মাল্টি অপশন্‌ড হয়ে যাবে। জটিলতা বহুগুণ বাড়বে। যেখানে ভাষাটির দরকার নাই বলে সমাজের সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী শ্রেণী সিদ্ধান্ত করে ফেলেছেন, সেখানে শৃঙ্খলা ছাড়া বাঁচার পথ নাই।

ম-ফলা

ম-ফলা নিয়ে কোন সমস্যা থাকার কথা নয়, কিন্তু আছে। কারণ এটি সঠিকভাবে উচ্চারণ করার বিরুদ্ধেই সব ব্যাকরণে লেখা আছে।নীচে যুগ্ম লেখাটিতে ক্লিক করুন। 'যুগ্' এবং 'মো' অংশ পৃথকভাবে শোনার জন্য 'যুগ্' বা 'মো' তে ক্লিক করুন। লক্ষা করুন যুগ্ম শব্দের 'ম' অংশটি পরিষ্কার ভাবে শোনা যাচ্ছে না। তার কারণ 'যুগ' অংশের সঙ্গে সমলয়ে বললে 'ম' অংশের ওষ্ঠ বর্ণের জন্য ঠোঁট বন্ধ করার সময় পাওয়া যায়নি। কিছুটা 'ঙ' ধরণের উচ্চারণ হয়েছে। এই রকম উচ্চারণই আমরা কথা বলার সময় করে থাকি। থেমে থেমে করি না। অর্থাৎ ম-ফলায় 'ম' টি অর্ধোচ্চারিত থাকে। এই কথা ব-ফলার, য-ফলার এবং র-ফলার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বেশী না ভেবে স্বাভাবিক ভাবে উচ্চারণ করুন। শরীর ঠিক সময় ধরে উচ্চারণ করবে। এবং তা করবে টাইম অপটিমাইজ করে।

যুগ্ম

Bangodarshan

  যুগ্        বিরতি            মো   

গ্রীষ্ম

Bangodarshan

    গ্রীষ্             বিরতি        

গ্রীষ্ম শব্দটিকে যা বানান তাই উচ্চারণ করা হয়েছে। প্রথমে গ্রীষ্ম শব্দটির উপর ক্লিক করে শব্দটি শুনুন। লক্ষ্য করবেন একটু ধীরে বলা হয়েছে। না করলে 'ম' পরিষ্কার শোনা যেত না। দুটি সিলেবলের মধ্যে বিরতি খুব কম। তার কারণ শিষ্ ধনি একটু বেশী সময় ধরে না রাখলে কান ভাল শোনে না। এর পর ছবির নীচের 'গ্রীষ্' ও 'ম' অংশ দুটিতে ক্লিক করে শব্দাংশগুলির বৈশিষ্ট অনুধাবন করুন। গ্রীষ্ প্রায় অবিকৃত, কিন্তু 'ম' কে কষ্ট করে চিনতে হয়। ধীর লয়েই এই অবস্থা। কথা বলার চলনে বললে আরও হ্রস্ব হয়ে যাবে।

গ্রীষ্ম (মধ্যম লয়)

Bangodarshan

  গ্রীষ্          বিরতি          

উপরের ছবি তে গ্রীষ্ম শব্দটি বানান অনুযায়ী উচ্চারণ করা হয়েছে মধ্যম লয়ে, অর্থাৎ কথাোপকথনের লয়ে। দুটি বৈশিষ্ট লক্ষ্য করার মতো। দ্রুত হলেও 'ম' বোঝা যাচ্ছে। সময় কম হয়ে যাওয়ার জন্য 'ষ্' একটু জোরে উচ্চারণ করে শোনার ব্যবস্থা করেছে মুখ। প্রায় ০.৪ সেকেণ্ড সময় কমিয়ে বলা হলেও 'ম' উচ্চারণ ওষ্ঠ বর্ণের প্রকরণ মেনে ঠোঁট প্রায় জুড়ে করা হয়েছে বলে 'ম' পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।

গ্রীষ্ম ঠোঁট খোলা

Bangodarshan

  গ্রীষ্          বিরতি          

আমরা কথা বলার সময় টানা বলে যাই। তখন যে ভাবে বলি উপরের গ্রীষ্ম শব্দটি সেভাবেই উচ্চারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ মুখ ঠোঁট বন্ধ করে গ্রীষ্ম শব্দের 'ম'' অংশটির উচ্চারণ সম্পূর্ণ করার আগেই অন্য শব্দের কাজ আরম্ভ করায় 'ম' অর্ধোচ্চারিত থেকে গেছে। বেশীর ভাগ অর্ধস্বর ও নাসিক্য বর্ণের এই গতি হয়ে থাকে।

গ্রীশ্‌শঁ

Bangodarshan

  গ্রীশ্          বিরতি          শঁ

উপরের ছবির গ্রীশ্-শঁ শব্দটির ধ্বনি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এখানে দেখানো হয়েছে, যাতে সকলে উচ্চারণ অভিধান জাতীয় বইএ লেখা পদ্ধতি অনুসরণ করলে কি শোনা যাবে সেটি বোঝানোর জন্য। লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে যে 'শ' অক্ষরটি দুবার উচ্চারণ করার জন্য সময় অনেকটা বেশী লেগেছে। আর উচ্চারণ করার পর যা পাওয়া গেল তা কথা বলার সময় বলা হয় না। আসলে ষ কে কেন শ বলতে হবে এটা পণ্ডিত মানুষরাই জানেন। 'র' উচ্চারণের পরে শিষ্ ধ্বনি করলেই 'ষ' উচ্চারিত হয়ে যায়। কোন বাড়তি প্রয়াস লাগে না। সময়ও লাগে সব থেকে কম।

য-ফলা

য-ফলা নিয়ে কোন সমস্যা থাকার কথা নয়। 'য', অর্থাৎ 'ইয়' অংশটির 'হ্রস্ব ই' লোপ পেয়ে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল, ফার্ষ্ট জেনারেশন পণ্ডিতরা তার ভুল ব্যাখ্যা করে য-ফলায় ব্যঞ্জনটির দ্বিত্ব হয় বলে প্রচার করে দিলেন। পরবর্তী বহু প্রজন্ম তাই শিখে এবং প্রাক্টিস করে মতবাদটিকে সুদৃঢ় করে ফেললেন। এই প্রক্রিয়াটি বোঝার জন্য আমরা নীচের কয়েকটি ধ্বনি তরঙ্গের মাধ্যমে পার্থক্যগুলি চিহ্নিত করার চেষ্টা করব। নীচে খুবই কমন 'বাক্‌-কো' কথাটি উচ্চারণ করে তার ধ্বনিতরঙ্গ দেখানো হল। বাক্-কো কথাটি শোনা জন্য 'বাক্‌-কো' লেখাটিতে ক্লিক করুন। 'বাক্' এবং 'কো' অংশ পৃথকভাবে শোনার জন্য 'বাক্' বা 'কো' তে ক্লিক করুন।

বাক-কো

Bangodarshan

  বাক্            বিরতি        কো

এর পরে বাক্‌-কো কথাটির 'কো' অংশের 'ক'টি কে বাদ দিয়ে 'বাক্-ও' তৈরী করা হয়েছে। শব্দটি শুনলে বোঝা যাবে, 'বাক্-কো' শব্দের সঙ্গে এর পার্থক্য বেশী নয়। অনেকের কাছে এই উচ্চারণটি কম ক্লেশকর মনে হবে।

বাক্‌-ও

Bangodarshan

  বাক্          বিরতি          

এর পরে 'ইয়ো' শব্দটি উচ্চারণ করে তার ধ্বনিতরঙ্গ দেখানো হয়েছে। 'ইয়ো' তে ক্লিক করে উচ্চারণটি শুনুন। মনে রাখবেন, 'জ' আর 'য'এর উচ্চারণ জিভের সামান্য ফাঁক বাড়িয়ে হয়ে যায়। 'য' আর 'ইয়' একই ধ্বনি।

ইয়ো

Bangodarshan

ইয়ো

এইবার 'বাক্-ও' শব্দের 'ও' অংশকে 'ইয়ো' দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা হল। এই নূতন ধ্বনিতরঙ্গটি 'বাক্-ইয়ো' নামে নীচে দেখানো হল। ভাল করে শুনুন। এর কাছাকাছি হল 'বাক্য' শব্দের আদর্শ উচ্চারণ। খুব কঠিন কি? লজ্জা করছে? তাহলে বাক্-ও দিয়ে চালিয়ে দিন।

বাক্‌-ইয়ো

Bangodarshan

  বাক্          বিরতি          ইয়ো

র-ফলা

র-ফলা উচ্চারণ খুবই সহজ কারণ র হল অর্ধস্বর। খুবই কম প্রচেষ্টায় র উচ্চারিত হয়। র-ফলায় রটির অর্ধেক বা শেষ ছেঁটে উচ্চারণ করা হয়। নীচে খুবই কমন বক্র কথাটি উচ্চারণ করে তার ধ্বনিতরঙ্গ দেখানো হল। বক্র কথাটি শোনা জন্য 'বক্র' লেখাটিতে ক্লিক করুন। 'ক্র' অংশ পৃথকভাবে শোনার জন্য 'ক্র' তে ক্লিক করুন। পরের ছবিটি 'ক্রতু' শব্দের ধ্বনিতরঙ্গ। ক্রতু কথাটি শোনা জন্য 'ক্রতু' লেখাটিতে ক্লিক করুন। 'ক্র' অংশ পৃথকভাবে শোনার জন্য 'ক্র'তে ক্লিক করুন। দেখুন ক্রতু শব্দে ক্র আর তু'র মধ্যে বিরতি বেশ কম। আর ক্র শব্দাংশটি আলাদা ভাবে শুনলে দুটি ক্ষেত্রেই অস্পষ্ট বোধ হয়। কিন্তু বিরতি কম বলে ক্রতুর 'ক্র' অংশ শেষ হতে হতে 'ত' এর রেশ এসে গেছে। এগুলি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আপনার মস্তিস্ক আর মুখ মিলে ঠিক উচ্চারণ করে নেব। যুক্তাক্ষর র-ফলার 'র' অর্ধস্বর মনে রাখলেই মস্তিস্ক কাজ ঠিক করে নেব। যেটুকু তারতম্য হয় তাতে কোন অসুবিধা নেই। খুব ভালই বুঝতে পারা যায়।

বক্র

Bangodarshan

ব              বিরতি        ক্র

ক্রতু

Bangodarshan

  ক্র          বিরতি          তু

রেফ্ যূক্ত শব্দ

রেফ্ যুক্ত শব্দ নিয়ে খুব বেশী কনফিউশন নেই। তবে যেহেতু পণ্ডিতেরা বহুকাল ধরে রেফ্ এর পরবর্তী অংশটির দ্বিত্ব লেখার প্রথা প্রচলন করেছিলেন, তাতে মানুষের মনে বদ্ধমূল ধারণা হয়ে গিয়েছিল যে, রেফ্ এর পরবর্তী অংশে উচ্চারণের প্রয়োজনে জোর দেওয়া আবশ্যিক। যদিও লেখায় দ্বিত্বের ব্যাপার প্রায় পঞ্চাশ বৎসর হল উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে; তবু জোর দেওয়ার অভ্যাসটা এখনও থেকে গেছে। এই বিষয়টি উদাহরণ সহযোগে ব্যাখ্যা করা হল পরবর্তী অনুচ্ছেদে। প্রথম উদাহরণটিতে অর্ক শব্দের স্বাভাবিক উচ্চারণ দেখানো হয়েছে। লক্ষ্য করুন, 'অর্' এবং 'ক' এই দুই অংশের মধ্যে একটি বিরতির অংশ রয়েছে। পরে এই বিরতিকে অর্ধেক করে ও লোপ করে দুইটি ধ্বনিতরঙ্গ দেখানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উচ্চারণের শব্দও শব্দটিতে ক্লিক করে শোনা যাবে।

অর্ক

Bangodarshan

অর্       বিরতি          কো

অর্ক(বিরতি অর্ধেক)

Bangodarshan

অর্          বিরতি          কো

অর্ক(বিরতিহীন)

Bangodarshan

অর্                    কো

ভাল করে শুনলে বুঝতে পারবেন, বিরতি অর্ধেক করলে বোঝা যাচ্ছে কিন্তু লোপ করলে জড়িয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ বিরতি কিছুটা চাই। এর কারণ 'ফিজিক্যাল'। কানের অত ডিসক্রিশন নাই। আবার বিরতি ছাড়া শোনা গেলেও, প্রত্যঙ্গগুলির চলাচলে যে সময় লাগে সেই ফাঁকটুকু হয়ে যাবে। দ্বিতীয় উদাহরণে 'বর্জন' শব্দটিতে বিরতির পরিমাণ বেশ কম। উচ্চারণটি শুনুন। এখানে শরীর কম সময় নিয়েছে। কিন্তু এই কম বিরতি লোপ করা উচ্চারণটি শুনুন। চলবে না, জড়িয়ে গেছে।

বর্জন

Bangodarshan

বর্          বিরতি          জন

বর্জন(বিরতিহীন)

Bangodarshan

বর্                    জন

তৃতীয় উদাহরণটিতে 'গর্ভ' শব্দটির উচ্চারণ শুনুন। এখানে স্বাভাবিক কারণেই বিরতি আরও কম। বিরতি বাদ দেওয়া উচ্চারণটি শুনুন। জড়িয়ে গেছে। মনে হয়, এই অল্প ফাঁকটুকু না রাখলে কানের ডিসক্রিশন গুলিয়ে যায়। সম্ভবতঃ উচ্চারণ প্রত্যঙ্গগুলি এর থেক কম ফাঁক রেখে ডেলিভারী করতে পারে না। যাই হোক, আগে দুটি উদাহরণের মত এই উদাহরণটি আমাদের ধারণা পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে।

গর্ভ

Bangodarshan

গর্          বিরতি          ভ

গর্ভ(বিরতিহীন)

Bangodarshan

গর্                    ভ

পূর্ববর্তী তিনটি উদাহরণে র্ বা রেফ্ এর পরে বিরতি বেশী থেকে কমে আসার ঘটনা লক্ষ্য করা গেল। পরের উদাহরণটিতে 'হর্ষ' শব্দটিতে বিরতি একেবারেই নেই। কারণ শরীরের প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন। আমরা জানি 'হ' হল 'অ' এর শ্বাসাঘাতযুক্ত উচ্চারণ। সেজন্য টেকনিক্যালি 'হ' কে 'অ' ধরলে বা স্বর মনে করলে খুব একটা ভুল হয় না। স্বরপ্রায় 'হ' র্ বা রেফ্ এর সঙ্গে 'সীমলেস' বা দাগহীন ভাবে জুড়ে গিয়েছে। 'র্' এর পরের বর্ণ 'ষ' জিভ নড়ানোর দরকার নেই। তাই কোন বিরতি তৈরী হয়নি। কিন্তু 'ষ' বা 'শিষধ্বনি'টি কিছুটা দীর্ঘায়িত হয়েছে, শব্দবড়িটিকে একমাত্রায় নিয়ে গিয়ে শ্রুতিসুখকর করার জন্য। অর্থাৎ প্রমাণ হল যে বিরতিগুলি বৈয়াকরণদের মস্তিষ্ক-নিঃসৃত নয়। উচ্চারণ প্রত্যঙ্গ, ব্রেণ ইত্যাদি শরীরে বিভিন্ন অংশের মিলিত প্রয়াসে কৃত কাজে নেসেসারী অ্যাডজাষ্টমেণ্টের ফলশ্রুতি। এই উদাহরণ দেখে 'বোনাস' পাওয়া গেল বানানের একটি ধারণার টেকনিক্যাল সাপোর্ট বা প্রমাণসিদ্ধি। 'র' বর্ণে পরে 'ষ' ই সর্বাপেক্ষা সহজসাধ্য উচ্চারণ। পূর্বজ ঋষিরা প্রলেতারিয়েতদের ছেলেপুলেদের ফেল করাতে এগুলির প্রবর্তন করেননি। এগুলি বিজ্ঞান।

হর্ষ

Bangodarshan

হর্                  ষ        

Bangodarshan

ফাদার  দ্যতিয়েন  বলতেন  ভাল  বাঙলা  বলে  এমন  বাঙালী  বিশেষ  দেখা  যায়না